সাত কলেজের সমস্যা: শিগগিরই আসছে সমাধান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত ৭ সরকারি কলেজের সৃষ্ট সমস্যার সমাধান শিগশিগ হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধারণের জন্য আহবানও জানিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের হতাশ না হয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা শুধু সভা সেমিনারে আলোচনা করলে হবে না। বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারব। শেখ হাসিনার সৈনিক তারাই, যারা দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে ছিল। আমরা বঙ্গবন্ধু আদর্শ বুকে ধারণ করি এবং লালন করি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু ফেসবুক চালালে হবে না, আমাদেরকে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আমরা সমৃদ্ধশালী দেশে রুপান্তরিত হতে পারবো। ফেসবুকে ছবি দিলেই দক্ষতার প্রমাণ হয় না। এ সময় কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষে থেকে শিক্ষা উপমন্ত্রীর হাতে ১১ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।
শোক সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শুধু আলোচনা করতে কোন মাস বা দিন লাগে না। প্রতিদিনই তাকে নিয়ে আলোচনা করা যায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বীজ তরুণদের মধ্যে বুনে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মোসা. আবেদা সুলতানা, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক মালেকা আক্তার, শোকসভার আহ্বায়ক ও পর্দাথবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. রমা বিজয় সরকার, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়লসহ কলেজের সাবেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
পরে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ রচনা ও হামদ-নাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। রচনায় ২য় পুরস্কার পান তিুতমীর কলেজে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ। অনুষ্ঠান শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।